চুল পাকার আগেই প্রতিরোধ করুন
চুল কালো, সাদা দুটোই হতে পারে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সাদা চুল বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর কালো চুলের অধিকারী মানেই বয়সে তরুণ।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কালো চুলের অধিকারীদের এখন আর শুধু কালো চুলে দেখা যায় না।
সাদা চুল নিয়েও বিব্রত হতে দেখা যাচ্ছে। আসলে পূর্ণাঙ্গ একটি ছকই পারে এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে।বলতে চাইছি, শুধু চুলের যত্ম করলেই অপরিণত বয়সের কালো চুল সাদা হবে না। এর জন্য চাই খাবারের, চলাফেরার পরিবর্তন।
অনিয়মতান্ত্রিক নিয়মই সমস্ত ঝামেলার মূল। তাই প্রথমে নিজেকে নিয়মের মধ্যে বাঁধার চেষ্টা করুন। এরপর আসবে পরিচর্যার কথা। চুল পাকার আগেই প্রতিরোধ করুন।
প্রতিকার করতে গেলে শুধু করতেই থাকবেন। এরচেয়ে ভালো রাস্তা হল যখন চুল কালো আছে তখনই যত্ম করে কালো চুল কালোই রাখুন। সাদা হতে দেবেন না।
১. হরতকি ও মেহেদী পাতার সঙ্গে নারিকেল তেল দিয়ে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে চুলে লাগিয়ে ২ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলতে হবে।
২. আমলকির রস, বাদামের তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন চুলে লাগালে চুল পাকা কমে যায়।
৩. নারিকেল তেল গরম করে মাথার তালুতে ভালো করে ম্যাসেজ করলে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে চুল সাদা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
৪. চুল সাদা হওয়ার শুরুতে হেনা, ডিমের কুসুম ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগালে চুল সাদা হওয়া কমে যাবে। হেনা ব্যবহারে শুধু চুল সাদা হওয়া থেকে রক্ষা করবে না সেই সঙ্গে সাদা চুলে কালো রঙে ফিরে আসবে।
৫. চুলে যেন সরাসরি রোদ না লাগে সেজন্য বাইরে বের হলে ছাতা, ক্যাপ অথবা ওড়না দিয়ে চুল ঢেকে রাখা জরুরি।
৬. চুলের ধরণ অনুযায়ী নিয়মিত ভালো ব্রান্ডের শ্যাশ্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের ক্রিম, জেল, কালার, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
৭.চুলের নিজস্ব রঙ ধরে রাখতে মাঝে মাঝে চায়ের ঘন লিকার ব্যবহার করতে পারেন।
৮. চুলে খুশুকি হলে শুরুতেই সাবধান হতে হবে। অতিরিক্ত খুশকির কারণে চুল সাদা হয়ে যায়।
৯. ধুমপান পরিহার করে নিয়মিত পানি, ফলমূল, রঙিন শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার খেলে চুল সাদা হবে না বরং চুল হবে সুন্দর ও ঝরঝরে।
১০. অনেক সময় শরীরে কপারের অভাব হলে চুল পেকে যেতে পারে যেহেতু এটা মেলানিন উৎপন্নে সাহায্য করে।
তাই আপনার খাদ্য তালিকায় পালংশাক, মাংস, আনারস, ডালিম, বাদাম, গরুর কলিজা, মাশরুম এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখুন। প্রতিদিন মাল্টি ভিটামিন-ও খেতে পারেন।
তাজিন/প্রতিক্ষণ/এডি/শারমিন